1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন - পূর্ব বাংলা
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বৈশাখী উৎসব সম্পন্ন সীতাকুন্ডে কালু শাহ্ মাজারের সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা হিন্দু বৃদ্ধকে রক্ত দান করে ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির স্থাপন করলেন দুই মুসলিম যুবক নববর্ষের হালখাতার পূণ্যাহ উৎসব কয়েকজন শয়তান ও হিংসুক সাংবাদিকের কারণে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে একটি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে গিয়েছিল কোস্ট গার্ড ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে কক্সবাজারে ৫ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ২১ জন ইয়াবা পাচারকারী আটক স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ : বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন একটি উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ বদলি হচ্ছেন ৩৬ সাব-রেজিস্ট্রার কোস্ট গার্ডের অভিযানে আনোয়ারার ২ কারবারী ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

 

একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১৪ এপ্রিল (সোমবার) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যা, ১৪ জন নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও ছাত্রছাত্রী রেখে গেছেন।

মরহুমের জানাজা গতকাল বাদ যোহর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রফেসর ড. ইউসুফ ইসলাম সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, একমাত্র কন্যা প্রফেসর ড. জেবা ইসলাম ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের একজন প্রফেসর এবং কনিষ্ঠ পুত্র ইঞ্জিনিয়ার খালিদ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে কর্মরত আইটি বিশেষজ্ঞ।

প্রফেসর ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ বছরেরও অধিক সময় বোটানি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) পড়িয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। গবেষণা জীবনে তিনি প্রথমবারের মতো দু’টি বাণিজ্যিক পাট জাতের মধ্যে সফল সংকরায়ণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, তিনি পাটের টিস্যু কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশন কৌশল সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশীয় অর্কিড ও আলু থেকে ভাইরাসমুক্ত গাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সোমাক্লোনাল ভ্যারিয়েশন, মেরিস্টেম কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশনসহ নানা টিস্যু কালচার কৌশল তিনি উন্নয়ন ও প্রয়োগ করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে: প্রেসিডেন্ট’স গোল্ড মেডেল ইন অ্যাগ্রিকালচার (১৯৮৪), একুশে পদক (শিক্ষা, ১৯৮৬), বিএএস গোল্ড মেডেল ইন বায়োলজি (১৯৮৭), বাংলাদেশ বোটানি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক (১৯৯৭), জিএনওবিবি প্রদত্ত লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৭)।

কুরআনের শিক্ষাকে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি ১৯৮০ সালে ‘কুরআনিক স্কুল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: স্মৃতির পটে জীবন ছবি, Rhymes of the Heart, বংশগতিবিদ্যার মূলকথা ও জিন প্রকৌশল এবং নৈতিক চরিত্র গঠনে কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা। বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla