1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
কয়েকজন শয়তান ও হিংসুক সাংবাদিকের কারণে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে একটি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে গিয়েছিল - পূর্ব বাংলা
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দঃ হালিশহর ফুটবল একাডেমির উপ- কমিটি গঠন: চেয়ারম্যান রাসেল, টিম ম্যানেজার বাবলা একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বৈশাখী উৎসব সম্পন্ন সীতাকুন্ডে কালু শাহ্ মাজারের সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা হিন্দু বৃদ্ধকে রক্ত দান করে ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির স্থাপন করলেন দুই মুসলিম যুবক নববর্ষের হালখাতার পূণ্যাহ উৎসব কয়েকজন শয়তান ও হিংসুক সাংবাদিকের কারণে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে একটি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে গিয়েছিল কোস্ট গার্ড ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে কক্সবাজারে ৫ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ২১ জন ইয়াবা পাচারকারী আটক স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ : বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন একটি উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ বদলি হচ্ছেন ৩৬ সাব-রেজিস্ট্রার

কয়েকজন শয়তান ও হিংসুক সাংবাদিকের কারণে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে একটি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে গিয়েছিল

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও এই স্বাধীনতার অপব্যবহার রোধে গঠিত হয়েছিল ‘প্রেস কাউন্সিল’। এই কাউন্সিল সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনৈতিক কাজের জন্য বিচার করে এবং কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে। বিচার প্রক্রিয়াটি উচ্চতর আদালতের মতই হয়ে থাকে। প্রেস কাউন্সিলের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ অন্য কোন উচ্চ আদালতে পুনঃ বিবেচনার জন্য আপীল করতে পারেন না- এটাই প্রেস কাউন্সিল আইনে আছে, যা জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছিল। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রেস কাউন্সিল আছে। আমাদের প্রেস কাউন্সিলের ৮ বছর আগে ওটা গঠিত হয়েছিল। প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বিচার প্রার্থীদের বিচার দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে- যা আমাদের দেশে নেই। ভারত বড় দেশ। ঐ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা প্রেস কাউন্সিলে বিচার প্রার্থী হন, তাদেরকে নয়াদিল্লী লোদী রোডস্থ প্রেস কাউন্সিল অফিসে মামলা দায়ের করতে হয়। প্রেস কাউন্সিল নয়াদিল্লী অফিসে মামলা গ্রহণ করলেও মামলার শুনানী করেন ভিন্ন ও অনুসরণীয় প্রক্রিয়ায়। এরা শুনানী করেন যে এলাকা বা রাজ্য থেকে মামলা করা হয়, সে এলাকায় আর রায় দেয়া হয় নয়াদিল্লীস্থ অফিস থেকে। এ ধরণের বিচার দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই। আমাদের দেশে ভারতের মত না হলেও ভিন্নভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা পেশা সম্পর্কিত যাবতীয় বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল একটি উদ্যোগ নিয়েছিল ২০০৩ খ্রি. সালে। তখন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন মাননীয় বিচারপতি এম. মোজাম্মেল হক এমপি (বর্তমানে মরহুম)। তিনি শুধু প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন না- জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য এবং জাতীয় সংসদের বেসরকারী সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
সম্পাদক, সংবাদপত্রসেবী ও সাংবাদিকদের দাবীতেই বিচারপতি মোজাম্মেল হক আন্তরিকভাবে চেয়েছিলেন সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পেশা সম্পর্কিত সকল মামলা প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হোক। উনি যেহেতু জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। সেহেতু আইনের সংযোজনীর আগে চেয়েছিলেন একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলুক। সে লক্ষ্যে তিনি প্রথমেই চট্টগ্রামকে বেছে নিয়ে ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি, চট্টগ্রাম’ গঠন করে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে অনুমতি দেন। ২০০৩ খ্রি. এর ৪ঠা আগস্ট তার স্বাক্ষরে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয় ১) মতামতের দ্বারা বিচারাধীন কোন মামলায় বেআইনীভাবে প্রভাব খাটাবেলা ২) ফরিয়াদী ও প্রতিপক্ষ সমঝোতা, আপোষ মীমাংসার জন্য আগ্রহী হলেই ভূমিকা রাখতে পারবে। ৩) বিচার প্রার্থীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য কোন ভাবেই প্রভাবিত করবে না ৪) দেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। কোন নাগরিককে আইনের আশ্রয় লাভ বা আদালতে বিচার প্রার্থনা থেকে বিরত থাকতে প্রভাবিত করবে না ৫) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রণীত সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ বিধি এবং দেশে প্রচলিত আইন বিবেচনায় রেখে তৎপরতা চালাবে।
যে কমিটি (সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি, চট্টগ্রাম) গঠন করা হযেছিল সেই কমিটি ছিল নিম্নরূপ চেয়ারম্যান: মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, সদস্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল (পদাধিকার বলে) সমন্বয়কারী: মোহাম্মদ মোসলেম খান (চট্টগ্রাম এডিটরস কাউন্সিল) সদস্যবৃন্দ: এম এ মালেক (সভাপতি, চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদ) আফসার উদ্দিন চৌধুরী (পূর্বাঞ্চলীয় সংবাদপত্র পরিষদ) আবু সুফিয়ান (সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব) ইসকান্দর আলী চৌধুরী (সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন) মোশতাক আহমদ (সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন) ওসমান গণি মনসুর (সিনিয়র রিপোর্টার) ও অ্যাডভোকেট এস এম সিরাজুল আলম (সিনিয়র আইনজীবী)।
এই কমিটি পরীক্ষামূলকভাবে তৎপরতা শুরু করলে সাংবাদিকদের মধ্যকার গুটিকয়েক মামলাবাজ, ট্রন্নি, স্বার্থান্বেষী, ধান্ধাবাজ কমিটির কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালায় এবং একটি মহলের ইন্ধনে কমিটি বিলুপ্ত করার ষড়যন্তে লিপ্ত হয়।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পদাধিকার বলেই আমাকে ঐ কমিটির চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমাকে কেন চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তা কয়েকজন নীতিভ্রষ্ট, হিংসুক, ইর্ষা-পরায়ণ, পরশ্রীকাতর, সংকীর্ণমনা সাংবাদিক-সম্পাদক সহ্য করতে- না পেরে কমিটির বিরুদ্ধে উঠে পরে লাগে- যাতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এই কমিটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও মামলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি করে। বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষ একটি চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এর ১১১ জন সাংবাদিকের সদস্যপদ পুনবহাল। ঐ ১১১ জন সাংবাদিককে তখনকার কমিটি সদস্যপদ দিয়েছিল। এরপর একটি সাধারণ সভা ও একটি বিশেষ সাধারণ সভায় ঐ সদস্যরা নোটিশ পেয়ে যোগ দিয়ে অধিকার প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে নির্বাচনের তফসীল ঘোষিত হলে ভোটার তালিকায় ঐ ১১১ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি জানানো হলেও তিনি ১১১ জনের সদস্যপদ বহাল করার জন্য প্রাথমিকভাবে কোন পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটির পক্ষে সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মোসলেম খান ঢাকায় সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সমবায় নিবন্ধক মিজানুর রহমান বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে সমবায় অধিদপ্তর জরুরীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিষয়টি তদন্তের জন্য যুগ্ম নিবন্ধক দিলরাজ বানুকে দায়িত্ব প্রদান এবং জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানার নোটিশ প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে ঐ ১১১ জন সাংবাদিকের সদস্যপদ পুনঃবহাল হয়। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে অনেকে সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান, সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। ঐ ১১১ জনের মধ্য থেকেই ৬৭ জন সাংবাদিক কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ারে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান। দুর্ভাগ্য যে, ঐ ৬৭ জন এখনো তাদের প্রাপ্য ফ্ল্যাট বুঝে পাননি- যদিও ইতিমধ্যে ১৬ বছর পার হয়েছে এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
২০০৫ খ্রি. সালের প্রথম দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে মাননীয় বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে বিদায় নেন। অতঃপর মাননীয় বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। উনি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবার পর কুচক্রী মহলটি ‘বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি’ বিলুপ্ত করার চক্রান্তে আবারো উঠে পড়ে লেগে যায়। বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক- এর মত বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ সাহসী ছিলেন না, সংসদ সদস্যও ছিলেন না। বিচারপতি মোজাম্মেল হক- এর সাহসের ঘটনার কথা পরে উল্লেখ করছি।
‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি, চট্টগ্রাম’ এর বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি মোজাম্মেল হকের সাথে বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ যোগাযোগ করে কথা বললে তিনি জানান, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এর সাথে পরামর্শ করে যা করার তা করেন। তখন বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ আমাকে বলেন, আপনাদের চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে একটা ভাল উদ্যোগ নেয়া হল- আর চট্টগ্রামের কয়েকজন মানুষ এর বিরোধীতা করছে। কি করা যায় এ বিষয়ে আমার মত চাইলেন। আমি বললাম- যা ভাল হয় তা করুন। শেষে আমি বিরক্ত হয়ে বললাম কমিটি বিলুপ্ত করে দেন।
*** চট্টগ্রামে ঐ কমিটির তৎপরতা অব্যাহত থাকলে প্রেস কাউন্সিল আইনে সংযোজনী এনে সারাদেশে এ ধরণের কমিটির তৎপর থাকলে সম্পাদক, সংবাদপত্রসেবী ও সাংবাদিকরা নিজেদের অনেক সমস্যা-বিবাদ নিজেরাই বসে নিষ্পত্তি করতে পারত। মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হত না। এবার মাননীয় বিচারপতি এম মোজাম্মেল হক এর সাহসের বিষয়টি শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করতে চাই। ২০০৩ সালে প্রবীণ সাংবাদিক ও সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম মুসা প্রেস কাউন্সিল/প্রেস এ্যপীলেট বোর্ডে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয় ছিল আবেদনকারী এবিএম মুসা ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবরে ‘দৈনিক নিত্যদিন’ নামের একটি পত্রিকার ডিক্লারেশন এর জন্য আবেদন করেন। সকল প্রকার নিয়ম-কানুন রক্ষিত হবার পরও পত্রিকাটির ডিক্লারেশন ঢাকার জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করছিলেন না। এতে এবিএম মুসা সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রেস কাউন্সিল এ্যপীলেট (Appealate) বোর্ডে মামলা (নং: ১/২০০৩) দায়ের করেন। এরপর প্রেস এ্যপীলেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন কেন নিশ্চিত করা হচ্ছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে ঢাকার জেলা প্রশাসক জানান, পত্রিকার আবেদনকারী ও সম্পাদক আওয়ামী লীগ সমর্থন সেজন্য ডিক্লারেশন নিশ্চিত করা হয়নি। প্রেস এ্যপীলেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, এ রকম কোন আইন আছে কি না যে, সম্পাদক কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলে পত্রিকার ডিক্লারেশন দেয়া যাবে না। জবাবে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয় এই রকম কোন আইন নেই। অতঃপর প্রেস এ্যপীলেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া রায়ে ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয় যে, ১৫ দিনের মধ্যে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন অথেনটিকেট করার জন্য- অন্যথায় এই রায়টি ডিক্লারেশন হিসেবে বিবেচিত হবে। মাননীয় বিচারপতি এম মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান ছিলেন বলেই এ ধরণের রায় দেয়া সম্ভব হয়েছিল। যদিও বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিচারপতি মোজাম্মেল হকের মত সাহসী, ন্যায়পরায়ণ, বিচার কার্য পরিচালনায় স্বাধীন মনোভাবের বিচারপতি তার সমসাময়িকদের মধ্যে বিরল ছিল। এ কারণে তৎকালীন বিএনপি সরকার বিচারপতি মোজাম্মেল হককে আর প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাখেন নি। বিচারপতি মোজাম্মেল হক ২০১৮ খ্রি. সালের ১৭ই অক্টোবর ইন্তেকাল করেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি ছাড়াও বিচারের রায় বেচার মত অনেক বিচারপতি রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ২০০৬ খ্রি. সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির এক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় ব্যারিস্টার মইনুল এ অভিযোগ করেন। ঐ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে আমি যোগ দিয়েছিলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী জামাল উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ছালেহ জহুর, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমদ, ৭ দলীয় জোট নেতা এস এম জহিরুল হক যোগ দিয়েছিলেন। সভাপতিত্ব করেছিলেন এস এম জামাল উদ্দিন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, গিয়াস কামাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম (যিনি পরে এটর্নী জেনারেল ছিলেন) সহ সেই সময়ের প্রেস কাউন্সিলের সদস্যরা ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি’র কার্যক্রম চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রামের কয়েকজনের কারণে তা আর সম্ভব হল না, কমিটি বিলুপ্ত করতে হল। চট্টগ্রামের সংবাদপত্র, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা বঞ্চিত হল অতি প্রয়োজনীয় প্রাপ্তি থেকে। আপোস মামলা নিষ্পত্তি করার সুযোগ থেকে। কয়েকজন শয়তান ও হিংসুক সাংবাদিকের কারণে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে একটি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে গিয়েছে।
————————————————————————
* লেখক: মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ওযার্ল্ড এসোসিয়েশন কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য এবং চেয়ারম্যান,
সংবাদপত্র-সাংবাদিক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি, চট্টগ্রাম (২০০৩-২০০৫)।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla