দেশে প্রাণি সম্পদ সুরক্ষা, উন্নয়ন, মানুষের প্রোটিন সমৃদ্ধ আমিষ জাতীয় খাদ্য ও দুগ্ধজাত গাভী উৎপাদনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে
—————————————-
সমীরণ বড়ুয়া, রাউজান থেকে ফিরে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৫২০ জন দুগ্ধ গাভী খামারিদের মাঝে দুগ্ধজাত গাভী উৎপাদনে পরিচর্যা প্রকল্প গ্রুপের জন্য ঘাস কাটার আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত উপকরণ সামগ্রী ২৪ মার্চ সোমবার বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত রাউজান পৌর সদরে অবস্থিত উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতাল কার্যালয়ের সন্মূখে অনুষ্ঠিত মোট ১৩ টি গ্রুপের মধ্যে ১৩ টি ঘাস কাটার আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ বলেছেন,দেশে প্রাণিজ সম্পদ সুরক্ষা, উন্নযন, মানুষের প্রোটিন সমৃদ্ধ আমিষ জাতীয় খাদ্য ও দুগ্ধজাত গাভী উৎপাদনে সরকার খামারিদের মাঝে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ লক্ষে সরকার, রাউজান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদে ২১৮ টি গরু, ছাগল, ও মহিষ এর খামারিদের নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় এ সব খামারিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, পশু পাখি পালনের প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র সরবরাহ করছে। যা তৃণমূল পর্যায়ে গবাদি পশু, হাঁস, মুরগী, কবুতর, ডেইরি ফার্ম, পোলট্রি ফার্ম গড়ে উঠেছে। তিনি অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, গ্রামাঞ্চলে দুগ্ধ জাত গাভী উৎপাদনে এ কর্মকর্তারা গ্রামীণ জনপদে উঠোন বৈঠক করে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী প্রদান, পরামর্শ,সেবাদানের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাউজান উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা: জয়িতা বসু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উপকরণ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সমীরণ বড়ুয়া, রাউজান উপজেলা প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক জাহেদুল আলম, মোহাম্মদ আলমগীর সহ উপজেলার প্রাণি সম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এতে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জয়িতা বসু বলেন,গত ২০২০ সালে এ উপজেলায় গবাদিপশু- পাখি পালন ও দুগ্ধ গাভী উৎপাদন পরিচর্যার জন্য কয়েকটি প্রকল্প কর্মসুচি গ্রহণ করেছিল। এ প্রকল্পে ১৩ টি গ্রুপে মোট ৫ শত ২০ জন দুগ্ধজাত গাভী উৎপাদন খামারি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে ৪০ জন সদস্য রয়েছে। এ খামারিদের মধ্যে আজ ঘাস কাটার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের খামারিরা উপকৃত হবে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে বলে তিনি জানান। এ প্রকল্পের মেযাদ শেষ হলে ও বিশেষ করে রাউজানে দুগ্ধজাত গাভীর খামার ও উৎপাদনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি পুনরায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।