আমরা নিম্নস্বাক্ষর ও পরিচয়দানকারী ব্যাক্তি হই। সুদীর্ঘ ২০ বছর ধরে চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে ‘সানোয়ারা ফ্লাওয়ার মিলস’, ‘সানোয়ারা ডাল-মিল’, ‘সানোয়ারা সেমাই ফ্যাক্টরী’, সানোয়ারা কম্পিউটার স্কেল ও সানোয়ারা ট্রেডিং পরিচালনা এবং বিভিন্ন আইটেমের পাইকারী ব্যবসা করে আসছি। তরুণ উদ্যোক্তা ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে আমাদের ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে।
আমরা সরকারি সব প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহপূর্বক ব্যবসা করে নিয়মিত সরকার বাহাদুরকে আয়করসহ যাবতীয় টেক্স প্রদান করে আসছি। একটি কুচক্রীমহল আমাদের সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করে সত্য-মিথ্যার আশ্রয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এডিট করা ছবি প্রকাশ করে আমার অপুরনীয় ব্যবসায়িক ও সামাজিক ক্ষতি সাধন করে চলেছে।
৬ মার্চ ২০২৫ দৈনিক জনবাণী পত্রিকায় ‘চাঁদাবাজ অতিষ্ট চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী’ শিরোনামে একইভাবে ভুল ও ভুয়া তথ্য দিয়ে দৈনিক কর্ণফুলী পত্রিকায়ও ‘ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চাক্তাই খাতুগঞ্জে ব্যবসায়ীরা ‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৬ মার্চ অনলাইন পোর্টাল নিউজবিডি-২৪-এ ‘আজগর-দিদারের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী’ শিরোনামে সংবাদ সম্প্রসার করে।
৯ মার্চ ২০২৫ দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকায়ও ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির ভাগাভাগি চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের আতংকের নাম দিদার-আজগর সিন্ডিকেট’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই নিউজ দৈনিক আজকের বাংলা পত্রিকায় ‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা” শিরোনামে সংবাদ সম্প্রসার করে। এসব সংবাদের প্রতিবাদে আমরা আইগত নোটিশ দিয়েছি সংশ্লিষ্ট বরাবরে ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদও জানাইয়েছি ।যা ১৯৭৩ সালের প্রেস এন্ড পাবলিকেন্স ও প্রেস কাউন্সিল রুলস অনুসরণ করেই চলেছি।
রাস্ট্রযন্ত্রের লোকজন, সচেতন নাগরিক, ব্যবসায়ী মহল, আমাদের গ্রাহক ও অসংখ্য শুভাকাঙ্কী এবং প্রিয় পাঠককুল প্রকাশিত এসব সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আমরা বিনীত অনুরোধ করছি।
বলা প্রয়োজন, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় সালাউদ্দিন মাঝি নিজে বাদী হয়ে আমাদের নামে জিডি করে। পুলিশের সোর্স মণি বেগমকেও বাদী করে আরো একটি জিডি করে। পুলিশ তদন্তে ওই দু’টো জিডি মিথ্যা প্রমানিত হয়। এলাকার লোকজন সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে সোহাগকে মামলাবাজ ও অবৈধ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনে থাকে। পিতা পুত্র মিলে বিভিন্ন দপ্তরে অবৈধ অর্থ ব্যয় নামে বেনাম নানান অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানী করে চলছে।
প্রসংগত বলা দরকার, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ভেজাল ও ক্ষতিকর ব্যবসায়ী ওই সালাউদ্দিন মাঝিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ও ক্ষতিকর পোল্টি ফিডগুলো ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।যাহা দৈনিক আজাদী, বাংলাদেশ বুলেটিন, সময় টিভিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ১৫ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে দেশ রূপান্তর পত্রিকায়ও সালাউদ্দিন মাঝির ক্ষতিকর বর্জ্য দিয়ে মাছ মুরগির খাবার তৈরীর সংবাদ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, এসব ট্যানারী বর্জ্য মিশ্রিত পোল্টি ফিড খাওয়া মুরগির ডিম পরীক্ষা করে সেখানে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্রোমিয়াম নামক রাসায়নিক পদার্থ ধরা পড়ে। যার কোনো দাহ্যতা নেই। আর এ রাসায়নিক পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ধ্বংস করে কিডনি, সৃষ্টি করছে থ্রমোসিস, করোনারি ডিসঅর্ডার, ইডিমাসহ ক্যানসারের মতো কঠিন ও ভয়াবহ সব রোগ।
মোঃ সালাউদ্দিন মাঝি ও তার পুত্র আবদুল্লাহ সোহাগ আমাদের সুনাম ও ব্যবসায়ীর সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে নানাভাবে হয়রানী ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। যা আমাদের সুনাম, স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক কাজে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছি।
সম্মানিত আমাদের চট্টগ্রামের গৌরব নোবেলজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনু্স, মাননীয় স্বরাষ্ট্র, আইন ও তথ্য উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের এই বিষয়টি দেশের বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সাধারণ ও বৈধ ব্যবসায়ীরা ভীত হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। চাই হয়রানীমুক্ত জীবন। চাই জানমালের নিরাপত্তা। এই বিষয়ে আপনাদের তড়িৎ হস্তক্ষেপ গ্রহন করলে গোটা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা শান্তি পাবে ও বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা আরো বাড়বে।
বিনিত নিবেদক-
মোঃ আজগর
মোঃ দিদারুল ইসলাম দিদার
পিতা-মৃত হাজী মোজাহের মিয়া সওদাগর
বাসা/ হোল্ডিং ১৩২১/১৫২২ হাজী মোজাহের সওদাগর বাড়ী, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম।
মোবাইল নং ০১৮১২৮৪৮৪১৯