1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
ফিলিস্তিনের যুদ্ধ থামাতে বিশ্ব মানবতার ঐক্য চাই - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
এলডিপিতে যোগ দিলেন লে. জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী চট্টগ্রামে মাদক এবং ২ টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে কোস্টগার্ড বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শ্রোতা আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত বন্দর থেকে এই প্রথম সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পেল চসিক দঃ হালিশহর ফুটবল একাডেমির উপ- কমিটি গঠন: চেয়ারম্যান রাসেল, টিম ম্যানেজার বাবলা একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ১০০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বৈশাখী উৎসব সম্পন্ন সীতাকুন্ডে কালু শাহ্ মাজারের সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা হিন্দু বৃদ্ধকে রক্ত দান করে ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির স্থাপন করলেন দুই মুসলিম যুবক নববর্ষের হালখাতার পূণ্যাহ উৎসব

ফিলিস্তিনের যুদ্ধ থামাতে বিশ্ব মানবতার ঐক্য চাই

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

মাহমুদুল হক আনসারী

মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া এখন বরবর ইসরাইল নামক তথাকথিত রাষ্ট্র। শান্তিকামী ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। গোটা পৃথিবী এখন এই যুদ্ধের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী হামাসের আকস্মিক হামলার পর প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া ভাবে ফিলিস্তিনি নাগরিকের ওপর শত শত গুলি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার শিশু নারী ও নিরস্ত্র শান্তিকামী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একের পর এক ইসরাইলের জঙ্গি হামলায় গাঁজা উপত্যকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত। বিমান বোমা ও অস্ত্রবারুদে ঝাঝরা হয়ে যাচ্ছে ৪১ কিলোমিটার প্রায় দৈর্ঘ্যের ছোট্ট এই এলাকাটি ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি মাটির সাথে মিশে গেছে। তাদের আর্তনাদ ও চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। মানবিকতা নৈতিকতা এবং আন্তর্জাতিক সকল আইন অগ্রাহ্য করে ইসরাইল তার মিত্রদের সহযোগীতায় মানবহত্যা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত স্থল ও বিমান হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে গেছে গাজা শহর। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নজীরবিহীন ভাবে মানবিক সংকটে পড়েছে। তারা হামলার টার্গেট করেছে হাসপাতালকে পর্যন্ত। হাসপাতালে গিয়েও আহতরা নিস্তার পাচ্ছেনা। অনেক হাসপাতাল ধ্বংস স্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়। ইতিমধ্যে চারা হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নারী শিশু ও নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সমূহ বলেছে। নিহতদের দুই তৃতীয়াংশই শিশু। বাকীরা সবাই নিরস্ত্র নারী ও পুরুষ। এসব হামলার ও যুদ্ধের লেলীহানে গোটা দুনিয়া এখন বিবেকহীন হয়ে পরছে। মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্ব কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে এই জঘন্য হামলার জন্য ইসরাইলের প্রতি দোষারোপ করছে। ইসরাইল সর্বশক্তি দিয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র সুসজ্জিত যুদ্ধ বাহিনী দিয়ে পুরো গাজা শহরকে রনাঙ্গণে পরিণত করেছে।

মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ মসজিদুল আকসার প্রতি ধর্মপ্রাণ মুসলিম বিশ্বের বিশেষ একটি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। মসজিদুল আকসাকে পবিত্র রাখা ও সেখানে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা ধর্ম কর্ম নামাজ আদায়ে অনড় ও বিশ্বাসী। তাদের এই বিশ^াসকে ইহুদি ইসরাইলি কোনোভাবেই পালন করতে দিচ্ছে না। প্রায় পচাত্তর বছর থেকে এই পবিত্র মসজিদটি ইসরাইলি জবরদখলকারী তথাকথিত রাষ্ট্রটি মুসলমানদেরকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা। ফলে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে ইসরাইল ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়ে চলছে। পবিত্র এই মসজিদটি মুসলমানদের সর্বপ্রথম মসজিদ। এটির পবিত্রতা মুসলমানদের ঈমানের একটি অংশ। তাই ফিলিস্তিনি মুসলমান এবং মসজিদুল আকসার পবিত্রতা রক্ষার জন্য সারা পৃথিবীর মুসলিম বিশ^ ঐক্যবদ্ধ। আজ বিশ অক্টোবর সারা পৃথিবীতে ফিলিস্তিনি নিরীহ শান্তিকামী মানবতার মুক্তির জন্য প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। বিশ^ মুসলমানদের একটিই দাবী আর সেটি হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার ও তাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ইসরাইল সেখানে জবরদখল করে প্রবেশ করেছে। মূলত রাষ্ট্রটি হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের। ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ও রাষ্ট্রকে পূর্ণরুপে স্বাধীন করার জন্য লম্বা সময় থেকে যুদ্ধ করে আসছে। তাদের যুদ্ধকে ইহুদিরা সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দিয়ে দমন করার জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করছে। বিশে^র মানবতাবাদী সব ধর্মের মানুষ জানে যে ফিলিস্তিনিদের জন্য এই রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি একদিন না একদিন পূর্ণভাবে স্বাধীন করবে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। এই রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘসময় পর্যন্ত হাজার হাজার মূল্যবান জীবন দিয়ে তারা শহীদ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশসমূহ ফিলিস্তিনিদের মৌখিকভাবে সমর্থন করলেও গোলাবারুদ অস্ত্র অর্থ দিয়ে তাদের পাশে আসতে এখনো দেখছিনা। ফলে ইসরাইলের পাশে আমেরিকা ফ্রান্সসহ পুরো ইহুদি রাষ্ট্রসমূহ ঐক্যবদ্ধ। আজকে তারা নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তি প্রদর্শন করে শান্তিকামী ফিলিস্তিনি নারী পুরুষকে হত্যা করছে। হাজার হাজার শিশুকেও নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ফিলিস্তিন দেশকে রক্তাক্ত করছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনি জনগণকে সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য শোক দিবস হিসেবে পালন করেছে। বাংলাদেশের সমগ্র মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনি শান্তিকামী মানুষের জান মাল ও তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রতিবাদ সভায় মিছিল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখ লাখ মসজিদে তাদের উদ্দেশ্যে মোনাজাত  প্রার্থনা করা হয়েছে। বিশ্ব  শান্তিকামী মানুষের সাথে বাংলাদেশের ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয় জনগণ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে সবসময় ছিল এখনো আছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত এলাকায় ২০ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রতিবাদে ফুসে ওঠে। এদেশের মানুষ জানান দিয়েছে আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের যুদ্ধ বন্ধ করা হউক। এ দাবীতে পুরো বাংলাদেশ রাজপথ কেপে উঠেছে। মসজিদে মসজিদে তাদের জন্য দোয়া হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট তাদের জানমাল ইজ্জত রক্ষার জন্য মুসল্লীরা চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে প্রার্থনা করেছে। পরিস্কার করে আমরা বলতে চাই যুদ্ধের মাধ্যমে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না। ফিলিস্তিনিদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জুলুম অত্যাচার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। নারী শিশু ও নিরস্ত্র জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এইজন্য বিশে^র নেতৃত্বে যেসকল সংগঠন রয়েছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠন সমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। মুসলিম বিশে^র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন আরবলীগ, ওআইসি ও বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্তি দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জয় হোক মজুলম মানুষের প্রতিষ্ঠা হোক শান্তি বন্ধ হোক জুলুম ও যুদ্ধ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla